আজানের জবাব
আজানের জবাব ও ফজিলত- ইসলামের মহিমা ও শক্তি আমরা হাদিসের আলোকে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়ক। হাদিসের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর নবী মুহাম্মদ (সা.)
এর বক্তব্য এবং প্রশ্নের উত্তর পেতে পারি। এই ব্লগে আমরা আজানের জবাব ও ফজিলত নিয়ে হাদিসের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করব।
আজানের মাহত্ব:
আজানের মাহত্ব- আজান ইসলামে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এটি মুসলিমদের জন্য প্রায় প্রতিদিনের একটি পরিয়াপরপূর্ণ ব্যায়াম হিসেবে দেখা যায়। এ
টি মুসলিমদেরকে প্রতিদিনের আল্লাহর স্মরণ এবং নবী মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতি মহব্বত স্থাপনে সাহায্য করে।
আজান একটি মহান বাণী, যার মাধ্যমে মুসলিমদেরকে নামায এবং আল্লাহর প্রতি প্রতিবদ্ধ হতে অনুপ্রেরণা দেওয়া হয়।
আজানের জবাব ও দোয়া:
আজানের জবাব- আজানের পরে মুসলিমদেরকে আল্লাহর দিকে মুখ করে নামায পড়তে বলা হয়। এটি একটি বড় জবাব, যেটি মুসলিমদের আল্লাহর সামনে বক্তব্য করা হয়।
আজানের জবাবে মুসলিমদেরকে আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি বড় মিয়াদ সময় প্রদান করা হয়, যাতে তারা নামায পড়তে আসতে পারে।
আজানের জবাব সম্পর্কে হাদিসে বর্ণনা
আজানের জবাব সম্পর্কে হাদিসে বর্ণনা-
হাদীসঃ প্রিয় মুসলিম ভাইবোন, আমরা নবী মুহাম্মদ (সা.) এর বক্তব্য থেকে আজান ও তার জবাবের গুরুত্বপূর্ণ হাদিস দেখতে পারি। নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন,
"যে ব্যক্তি আজান শুনে এবং তার প্রতিজ্ঞা অনুসরণ করে, তাকে জান্নাত প্রতিষ্ঠা করা হবে।" (সহীহ আল-বুখারী)
হাদীসঃ হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে একটি হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর বক্তব্য বর্ণিত হয়েছে, "আপনাদের মধ্যে যে ব্যক্তি মুয়াজ্জিনের আজান শুনে এবং মুয়াজ্জিন যখন-
![আজানের জবাব ও ফজিলত হাদিসের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা আজানের জবাব ও ফজিলত](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEifdKcwVmH4ibrTdta-x9CyYVFEMDh5-L9-8jXtWW12NXXZj7CmE2zC4WkNC5e6_N8lWGuKyAwDXfzZsKbkqumNU9YBC5-4HW9GJyOI8orKPjuY4D9IUop8WDE5jTVzOTbeOOuLlEnDGRH62xThfJJn4zVl0CpluwsgiY8bn2fSdHkxIgonKnCl_SR2nBs/w640-h336-rw/%E0%A6%86%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%9C%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%20%E0%A6%93%20%E0%A6%AB%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A4.webp)
আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার' বলবে, তখন সে পুনরায় 'আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার' বলে,
আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বলবে, তখন সে পুনরায় 'আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বলে,
আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ' বলবে, তখন সে পুনরায় 'আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ' বলে।
তারপর-'হাইয়্যা আলাস্-সালাহ' বলবে, তখন সে পুনরায় 'লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ' বলে,
তারপর-'হাইয়্যা আলাল-ফালাহ' বলবে, তখন সে পুনরায় 'লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ' বলে,
তারপর-'আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার' বলবে তখন সে পুনরায় 'আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার' বলে,
লা-ইলাহা ইল্লল্লাহ' বলবে, তখন সে পুনরায় 'লা-ইলাহা ইল্লল্লাহ' বলবে, তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।" (আবু দাউদ, মুসলিম)।
আজানের ফজিলত:
আজানের ফজিলত- একটি অত্যদ্ভুত এবং শ্রদ্ধায় মূলক বিষয়। আজানের ফজিলতের মাধ্যমে মুসলিমদেরকে নামাযের মহত্ব এবং আল্লাহর দিকে মুখ করে প্রার্থনা করতে এবং নবী মুহাম্মদ (সা.) এর অনুসরণ করতে অনুপ্রেরণা দেওয়া হয়।
আজান, ইসলামিক ধর্মে প্রতিনিত্যকার প্রাথমিক পাঁচ ওযু-অবস্থায় সুন্নত পুরুষদের মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়ের মাননীয় মুসিবত ও নামাজের আদায়ের প্রদানের একটি সমার্থ্য পূর্ণ পদ্ধতি।
এই আজানটি মুসলিম সম্প্রদায়ের আল্লাহর সম্মুখে প্রত্যেক নামাযের প্রথম অংশ হিসেবে পাঠানো হয়। আজান সর্বপ্রথম হয়রত বিলাল (রাদিয়াল্লাহু আনহু) দ্বারা পাঠ করারনোর জন্য নির্দেশ করার হয়।
তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হযরত বিল্লাল রাদিয়াল্লাহু আনহু কে আজান দেওয়ার জন্য নির্ধারত করেন।
তারপর হযরত বিল্লাল (রাদিয়াল্লাহু আনহু) আজানের মাধ্যমে নামাজের শর্তগুলির প্রথম অংশ বলতে শুরুকরলেন।
আজানের প্রথম অংশ হল:
الله أكبر، الله أكبر
(আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার)
"আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান"
"আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান"
এই আজান পূর্বের মুসিবতের জন্য একটি সাক্ষীতা হিসেবে বলা হয়েছে, যেটি আল্লাহর একত্ব, মুহাম্মদ (সাঃ) এর রাসূলত্ব, এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের একত্ব নির্দেশ দেয়।
আজানের প্রস্তাবনা আমাদের নামাযের সময় আসার সূচনা দেয় এবং এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিত্যকার জীবনে মুসাফির হওয়ার একটি উপায় প্রদান করে।
আজানের মাধ্যমে মুসলিমদের নামাযের সময় অবস্থা জানা যায়। এই আজান ইসলামিক সম্প্রদায়ের সামাজিক এবং মানসিক একত্ব এবং নামাযের শ্রদ্ধাশীলতা বাড়ানোর একটি মাধ্যম হিসেবে প্রশংসা পেয়েছে।
পরিশেষ- হাদিসের মাধ্যমে আমরা আজানের জবাব ও ফজিলতের গুরুত্ব মানতে এবং এটির মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি প্রতিবদ্ধ হতে পারি।
আমরা নবী মুহাম্মদ (সা.) এর বক্তব্য থেকে আলোকিত হওয়ার মাধ্যমে মুসলিমদেরকে নামায এবং আল্লাহর দিকে মুখ করে নামায পড়তে উৎসাহিত করি।
ট্যাগ- আজানের জবাব ও দোয়া, ফজরের আযানের জবাব দেওয়ার নিয়ম,জানের জবাব দেওয়ার ফজিলত, ফজরের আজানের জবাব ও দোয়া, আজানের জবাব আরবি,
আজানের জবাব না দিলে কি গুনাহ হবে, আজানের উত্তর কিভাবে দিতে হয়,আজানের জবাব বাংলা, আজানের জবাব কিভাবে দিবো, আযানের দোয়া বাংলা অর্থসহ,
ফজরের আজানের জবাব ও দোয়া,আজানের পর দোয়া আরবি, আজানের জবাব বাংলা, আজানের জবাব দেওয়ার ফজিলত, বিটিভির আযানের দোয়া, আজানের জবাব আরবি
আরো পড়ুন- জান্নাতের ৮ টি দরজার নাম কি কি?
#আজান #আজানেরজবাব #ajan #ajanerjobab